Blogger Widgets
আপনি ফেসবুক এ এই ব্লগ এর ফ্যান পেজ টা ঘুরে আসতে পারেন , আর ভাল লাগলে একটা লাইক দিতে ভুলবেননা . Please Go our Facebook Fan page!

Liked us?

Blogger Widgets

শাহী চিকেন রোষ্ট (রেসিপি)

আমি চাইনা আমার ব্লগের পাঠক গন কোন কিছু থেকে বাদ পরে যাক , তাই আপনাদের জন্য বিভিন্ন আয়োজন নিয়ে আসছি, আশা করি আপ্নারা এই ব্লগের সাথেই থাকবেন ...।। আর আরও কোন বিষয়ে লিখার প্রয়োজন থাকলে অবশ্যই জানাবেন, , , ,
রোষ্ট রান্না আমাদের বাঙ্গালী সমাজে একটা প্রচলিত রান্না। বাড়ীতে/বাসায় নুতন মেহমান আসলে রোষ্ট না হলে কি চলে? আর রোষ্ট খেয়ে মেহমান যখন বলে, রান্না চমৎকার হয়েছে তখন ওই পরিবারের অবস্থা কি হয় তা আর বলার দরকার পড়ে না! সমন্ধ হউক আর না হউক, ওরা মনে রাখবেই! হা হা হা… চলুন কথা না বাড়িয়ে রোষ্ট রান্না দেখে নেই। এটাকে  শাহী রোষ্ট বলছি এই কারনে যে, বেশী স্বাদের জন্য মশলা পাতি একটু বেশী এবং ভিন্ন ব্যবহার করা হয়েছে। শুধু রোষ্ট এর ক্ষেত্রে কিছু মশলা বাদ দেয়া যায়।
রেসিপি পরিমাণঃ (পরিমাণ অনুমান করে দেয়া হয়েছে, সামান্য এদিক ওদিকে কি আসে যায়)
- কেজি খানেক মুরগীর মাংস
- হাফ কাপ টক দৈ
- এক কাপ পেঁয়াজ কুচি (বেরেস্তা বানিয়ে রাখতে হবে)
- তিন চামচ বাদাম বাটা
- এক চামচ আদা বাটা
- দুই চামচ রসুন বাটা
- পরিমাণ মত কাঁচা মরিচ বাটা (ঝাল দেখে)
- গরম মশলা; তিন চারটে এলাচি, কয়েক টুকরা দারুচিনি
- এক চামচ জিরা
- এক চামচ সাদা সরিষা বাটা
- এক চামচ জয়ত্রী
- একটা জয়ফলের ১০ ভাগের একভাগ (একটা বড় জয়ফল প্রায় ১০ কেজিতে ব্যবহার করা হয়)
- তিন চামচ টমেটো সস
- এক চামচ চিনি
- পরিমাণ মত লবণ
- পরিমাণ মত তেল/ পানি
প্রস্তুত প্রণালীঃ

কেজি খানেক কিংবা একটা মোরগ/মুরগী। দেশি হলে ভাল হয়, ফার্মের মুরগী দিয়েও করা যেতে পারে। মাংস ভাল করে ধুয়ে সামান্য লবণ এবং হাফকাপ টক দৈ দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন।

জয়ফল, জয়ত্রী, জিরা ও সরিষা বাটার জন্য প্রস্তুত। বাদাম আগেই বাটা হয়েছে।

এটা একটা টিপস! গুড়া টাইপের মশলা পাতি ধুয়ে নিতে ছাঁকুনি ব্যবহার করা ভাল। এই ধরনের মশলা না ধুয়ে নিলে বালু থেকে যেতে পারে।

এবার সমস্ত মশলা পাতি মাংসে দিয়ে দিন।  কিছু লবণ দিতে ভুলবেন না। চিনিও দিতে ভুলবেন না।

ভাল করে মিশিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে দিন।

কড়াইতে তেল নিয়ে প্রথমেই পেঁয়াজ কুচি দিয়ে বেরেস্তা বানিয়ে নিন। বেরেস্তা গুলো তুলে রেখে দিন।

এবার কড়াইয়ের গরম তেলে ম্যারিনেটেড করে রাখা চিকেন গুলো দিয়ে দিন।

ভাল করে মিশিয়ে নিন।

হাফ কাপ পানি দিয়ে চিকেন রাখা পাতিল ধুয়ে দিন এবং হালকা আঁচে মাংস নরম না হওয়া পর্যন্ত জ্বাল দিন। মাঝে মাঝে নাড়িয়ে দিতে পারেন।

রং এমন হয়ে গেলে এবং মাংস নরম হয়ে গেলে কয়েকটা কাঁচা মরিচ দিয়ে দিন এবং আগে করে রাখা মচমচে বেরেস্তা গুলো হাত দিয়ে গুড়া করে ছিটিয়ে দিন।

আরো মিনিট ১০ পর তেল ভেসে উঠে এমন চমৎকার রং ধারন করবে। ঝোল গাঢ় হয়ে যাবে।

ব্যস, পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।


( সংগৃহীত )

Leave a Reply

ফেসবুক থেকে কমান্ট করুন

আপনার ভাল লাগতে পারে এমন কিছু পোস্ট

Blogger Widgets