সব সময় একই ধরনের খাবার রান্না করলে পরিবারের সবাই খেতে বসে কু কা কাই
করবে এটাই স্বাভাবিক! হালকা পরিবর্তনে এবং একটু বুদ্দি খাটিয়ে রান্না করলে
সবাই খুশি হয় এবং খেতে বসে আনন্দ পায়। আমরা ক্ষুধার জন্য খাই বটে কিন্তু এক
ধরনের আইটেম আবার অপছন্দ করি। এদিকে আবার প্রতিদিন পোলাউ কোরমা! তাও
অসম্ভব ব্যাপার!
চলুন আজ ঘরে থাকা তিনটে মুরগীর শুধু লেগ নিয়ে একটা রান্না হয়ে যাক। দেখুনতো আপনার ফ্রিজে একটা ক্যাপ্সিকাম আছে কি না! আর না থাকলে নাই। ক্যাপ্সিকাম আমাদের দেশের অনেকে খেতে চান না কিন্তু যারা একবার খেয়ে অভ্যাস করে ফেলবেন, তারা বাজারে পেলেই কিনবেন। ক্যাপ্সিকাম খেতে প্রথম প্রথম আমাদের মুখে সইবে না কিন্তু এর ঘ্রাণ আসলেই চমৎকার। আমি শুধু ক্যাপ্সিকাম দিয়েই মাঝে মাঝে রান্না করি, আমাদের সাধারন সবজির মত করে। যাই হোক, আজকের রান্নার নাম দিয়েছি, চিকেন লেগ স্পেশাল উইথ টমেটো সস এন্ড ক্যাপ্সিকাম। হোটেল রোস্তারায় এই ধরনের খাবার পাবেন না, বেশ মজাদার হয়েছিল। তবে রান্নাটা খুবই সাধারন, যারা রান্না করেন তাদের কাছে এটা অনেকটা পানি খাবার মত ব্যাপারই লাগবে।

চিকেন লেগ গুলোকে ভাল করে ধুয়ে নিন এবং সামান্য লবণ যোগে হালকা তেলে ভেজে উঠিয়ে রাখুন। এটা এজন্য যে, এতে মাংস গুলো নরম হবে এবং স্বাদ বেড়ে যাবে।

বেশী ভাজবেন না।

সেই তেলের কড়াইতে এক কাপ পেঁয়াজ লবণ এবং কয়েকটা কাঁচা মরিচ যোগে ভাজুন।

এক চামচ আদা বাটা, দুই চামচ রসুন বাটা, পরিমাণ মত হলুদ এবং পরিমাণ মত লাল মরিচ গুড়া দিন।

ভাল করে কষিয়ে/ভেজে তেল উঠিয়ে তাতে চিকেন লেগ দিয়ে দিন।

মাখামাখি করে নিন। হালকা আঁচে কিছুক্ষণ জ্বাল দিন।

এবার প্রায় হাফ কাপ টমেটো সস দিন এবং আরো কিছুক্ষণ জ্বাল দিন।

এক কাপ পানি দিয়ে ঝোল বানিয়ে নিন এবং হালকা আঁচে মিনিট বিশেক রেখে দিন। এতে মাংস সিদ্ব হয়ে চমৎকার রং ধরে যাবে।

পাতলা করে কেটে রাখা ক্যাপ্সিকাম ছিটিয়ে দিন। যদি হাতের কাছে লেবু থাকে তবে এক চামচ লেবুর রস দিয়ে দিন।

আরো মিনিট দশেক। ফাইন্যাল লবণ দেখুন, হলে ওকে না হলে দিন। আরো কয়েকটা কাঁচা মরিচ দিন। ঝোল কেমন রাখবেন এটা আপনার উপর নির্ভর করবে। আমি এই ধরনের রান্নায় গা গা ঝোল রাখি।

ব্যস পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত!

মাঝ পথে লেবু শসা কেটে নিতে পারেন। এখানে লেবু দেখে আবার বলবেন না, এমন করে কেন! লেবু কাটার ও একটা স্টাইল আছে…। হা হা হা…

বিশ্বাস করুন যেমন হয়েছিল দেখতে তেমন খেতেও! চিকেন লেগ স্পেশাল উইথ টমেটো সস এন্ড ক্যাপ্সিকাম। পরিবারে মাঝে মাঝে শুধু একই ধরনের পিস দিয়ে রান্না করা উচিত কারন এতে খেতে বসা সবাই একই ধরনের পিস পাবে এবং সবাইকে সমান বিবেচনা করা হবে!

সাথে পোলাউ হলে আর কথা কি! বসে পড়ুন…। এটা তো আপনার জন্যই আমাদের ভালবাসা।
( সংগৃহীত )
চলুন আজ ঘরে থাকা তিনটে মুরগীর শুধু লেগ নিয়ে একটা রান্না হয়ে যাক। দেখুনতো আপনার ফ্রিজে একটা ক্যাপ্সিকাম আছে কি না! আর না থাকলে নাই। ক্যাপ্সিকাম আমাদের দেশের অনেকে খেতে চান না কিন্তু যারা একবার খেয়ে অভ্যাস করে ফেলবেন, তারা বাজারে পেলেই কিনবেন। ক্যাপ্সিকাম খেতে প্রথম প্রথম আমাদের মুখে সইবে না কিন্তু এর ঘ্রাণ আসলেই চমৎকার। আমি শুধু ক্যাপ্সিকাম দিয়েই মাঝে মাঝে রান্না করি, আমাদের সাধারন সবজির মত করে। যাই হোক, আজকের রান্নার নাম দিয়েছি, চিকেন লেগ স্পেশাল উইথ টমেটো সস এন্ড ক্যাপ্সিকাম। হোটেল রোস্তারায় এই ধরনের খাবার পাবেন না, বেশ মজাদার হয়েছিল। তবে রান্নাটা খুবই সাধারন, যারা রান্না করেন তাদের কাছে এটা অনেকটা পানি খাবার মত ব্যাপারই লাগবে।

চিকেন লেগ গুলোকে ভাল করে ধুয়ে নিন এবং সামান্য লবণ যোগে হালকা তেলে ভেজে উঠিয়ে রাখুন। এটা এজন্য যে, এতে মাংস গুলো নরম হবে এবং স্বাদ বেড়ে যাবে।

বেশী ভাজবেন না।

সেই তেলের কড়াইতে এক কাপ পেঁয়াজ লবণ এবং কয়েকটা কাঁচা মরিচ যোগে ভাজুন।

এক চামচ আদা বাটা, দুই চামচ রসুন বাটা, পরিমাণ মত হলুদ এবং পরিমাণ মত লাল মরিচ গুড়া দিন।

ভাল করে কষিয়ে/ভেজে তেল উঠিয়ে তাতে চিকেন লেগ দিয়ে দিন।

মাখামাখি করে নিন। হালকা আঁচে কিছুক্ষণ জ্বাল দিন।

এবার প্রায় হাফ কাপ টমেটো সস দিন এবং আরো কিছুক্ষণ জ্বাল দিন।

এক কাপ পানি দিয়ে ঝোল বানিয়ে নিন এবং হালকা আঁচে মিনিট বিশেক রেখে দিন। এতে মাংস সিদ্ব হয়ে চমৎকার রং ধরে যাবে।

পাতলা করে কেটে রাখা ক্যাপ্সিকাম ছিটিয়ে দিন। যদি হাতের কাছে লেবু থাকে তবে এক চামচ লেবুর রস দিয়ে দিন।

আরো মিনিট দশেক। ফাইন্যাল লবণ দেখুন, হলে ওকে না হলে দিন। আরো কয়েকটা কাঁচা মরিচ দিন। ঝোল কেমন রাখবেন এটা আপনার উপর নির্ভর করবে। আমি এই ধরনের রান্নায় গা গা ঝোল রাখি।

ব্যস পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত!

মাঝ পথে লেবু শসা কেটে নিতে পারেন। এখানে লেবু দেখে আবার বলবেন না, এমন করে কেন! লেবু কাটার ও একটা স্টাইল আছে…। হা হা হা…

বিশ্বাস করুন যেমন হয়েছিল দেখতে তেমন খেতেও! চিকেন লেগ স্পেশাল উইথ টমেটো সস এন্ড ক্যাপ্সিকাম। পরিবারে মাঝে মাঝে শুধু একই ধরনের পিস দিয়ে রান্না করা উচিত কারন এতে খেতে বসা সবাই একই ধরনের পিস পাবে এবং সবাইকে সমান বিবেচনা করা হবে!

সাথে পোলাউ হলে আর কথা কি! বসে পড়ুন…। এটা তো আপনার জন্যই আমাদের ভালবাসা।
( সংগৃহীত )